হেফাজত নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি

হেফাজতের নেতাদের গ্রেফতারের মুখে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছে ধর্মান্ধ ও উগ্র মৌলবাদী সংগঠনটি। হেফাজতের বেশ কয়েকজন নেতা গ্রেফতার হওয়ার পর গত পরশু রাতে হেফাজতের কয়েকজন নেতা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন।

সেসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কওমি মাদ্রাসা খুলে দেয়া এবং ধরপাকড় বন্ধ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেলিন তারা। কিন্তু ধরপাকড়ের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন যে ঢালাওভাবে ধরপাকড় হচ্ছে না।

সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই এই ধরপাকড় করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে এবং আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। আর কওমি মাদ্রাসা খুলে দেয়ার বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারাধীন বিষয় বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদেরকে জানিয়ে দেন।

হেফাজতের নেতারা বুঝে গেছেন যে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এখন তাদের রক্ষা করতে পারবেন না। আর এ কারণেই হেফাজত গতরাতে তাদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে একটি নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া সংক্রান্ত চিঠি দেবেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। তবে এই চিঠি প্রকাশের জন্য গণমাধ্যমকে দেয়া হবে না কি গোপনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেয়া হবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

হেফাজতের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, হেফাজতের চট্টগ্রামের দুই নেতাকে এই চিঠির খসড়া তৈরি করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ২৬ এবং ২৭ মার্চের ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ এবং এখানে হেফাজতের যদি কোনো ভূমিকা থাকে সেই ভূমিকার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়েছে।

এই চিঠিতে কওমি মাদ্রাসা খুলে দেয়া এবং আলেম-ওলামাদের গ্রেফতার না করাসহ বেশকিছু অনুরোধ জানানো হবে প্রধানমন্ত্রীকে। তবে কবে এই চিঠিটি পাঠানো হবে সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।